কুমিল্লায় পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে ৯ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের পেটের ভেতর থেকে প্রায় ২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শাকতলা এলাকায় র‌্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার চরপাড়াতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. তোফায়েল আহমেদ (১৯), একই গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের ছেলে মো. আশিকুল ইসলাম (১৯), ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. মিনহাজুল ইসলাম রিফাত (২২), একই থানার বাকশি (পাঠানবাড়ী) গ্রামের ফখরুদ্দিন পাঠানের ছেলে মো. রিশাত পাঠান (২২), একই গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মো. সেলিম (২২) ও নয়াবাড়ী গ্রামের মো. আসাদ মিয়ার ছেলে মো. গোলাপ (২২), পটুয়াখালী জেলার সদর থানার পশুরবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. সোহেল (২১), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার পিজাহাতি গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে মো. মিতুল হাসান মাহফুজ (২২) এবং গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার আমবাগ (কোনাবাড়ী) গ্রামের মৃত মাসুদ ইসলামের ছেলে মো. সিয়াম ইসলাম (১৯)।

এর মধ্যে রিফাত, সেলিম ও সিয়াম এইচএসসি পরীক্ষার্থী, রিশাত, মাহফুজ ও গোলাপ ডিগ্রি পরীক্ষার্থী, আশিকুল সদ্য এইচএসসি পাশ, তোফায়েল একাদশ প্রথম বর্ষ এবং সোহেল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসির ছাত্র।

র‌্যাব জানায়, ঢাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের প্রথমে মাদকাসক্ত করে তাদের নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে ঢাকা থেকে তাদের ভ্রমণের নামে যাত্রীবাহী বাসে করে টেকনাফে পাঠায়।

সেখানে সিন্ডিকেটের সদস্যরা এই ৯ শিক্ষার্থীর পেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফের ঢাকার উদ্দেশে বাসে তুলে দেয়।

খবর পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আমতলী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা। এ সময় একটি বাসে তল্লাশি করে ৯ জনকে আটক করা হয়।

পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করার পর প্রত্যেকের পেটে ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এ সময় বিশেষ পদ্ধতিতে পেটের ভেতর থেকে ২৩ হাজার ৯৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এর আগেও ইয়াবার বেশ কয়েকটি চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়েছে তারা। অর্থের প্রলোভন ও মাদকের নেশায় শিক্ষার্থীরা এ পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই অধিনায়ক।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, এসব মাদক সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।